কথোপকথন

- কিরে! এতক্ষণে আসার সময় হল তুর?
-ভাগ্যিস, এলাম বলে... একলা একলা বসে থাকতে পারতিস আমি না আসলে?
- এত দেরী করে আসার চেয়ে না আসলেই পারতিস। আর একলা থাকব কেন? চারিপাশে মানুষের অভাব আছে নাকি?
- মানুষের অভাব নেই। কিন্তু মনের মানুষের অভাব আছে বৈকি!

নিহানের এই কথার পর না হেসে পারল না হৃদি। সম্পর্কের শুরুটা বন্ধুত্বের মাঝ দিয়ে। কিভাবে যে দুজন দুজনকে ভালবেসে ফেললো তা তারা নিজেরাও বলতে পারে না। এমনকি আজ অবধি একে অপরকে "ভালবাসি তুকে", এই একটা কথাই বলেনি। তারপরও তাদের মাঝে নেই ভালবাসার কমতি। বরং সময়ের স্রোতের ধারায় তা বেড়েই চলেছে। এবার নিহান পাশে এসে বসল হৃদির। তার চোখের দিকে তাকালেই ভেতরে কেমন কেমন করে উঠে। 
- এই, তুই চোখে কাজল দিয়েছিস! এইডা কেমনে সম্ভব হল?
- কই? কাজল দিলাম কে বললো?
- আমাকে কি তুর কানা বলে মনে হয়?
- তুই যে কানা তা আমি আগে থেকেই জানি। মিথ্যুক কোথাকার। যা ভাগ এখান থেকে।
- ভাগবো কেন রে? তুর হাত ধরে বসে থাকব।
- ধরার সাহস আছে?
- দেখতে চাচ্ছিস?
- না!
- ভয় পাসনে, তুর অনুমতি না নিয়ে কখনোই হাত ধরব না।
 এই পর্যায়ে দুজনের মাঝে হাসি বিনিময় হতে থাকে। হৃদি জানে, নিহান তার অনুমতি ছাড়া কখনোই তাকে স্পর্শ করবে না। এই বিশ্বাসটা একদিনে জন্মায় নেই। ভালবাসাটা সম্ভবত বিশ্বাসের উপর ভর করেই বেঁচে থাকে। কি জানি। এদের কথা বাদ দিয়ে এবার চলুন একটা গান শুনে নেয়া যাক। ভেতরে কাঁপন ধরে ঠিক সেরকম একটা গান!



Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post